পরবর্তী দুইটি সৈকত হলো কারন ও কাটা। এগুলি খুবই শান্তিপূর্ণ সাগর সৈকত আপনাকে সম্পূর্ণ সূর্যালোকে সাঁতার কাটা, স্নরকেলিং ও রৌদ্রস্নান করার সুযোগ দেবে। কাটাতে কিছু অংশ জুড়ে আছে ক্লাব মেডিটারেনিয়ান। সাদা নাই হান সৈকত ফুকেতের দক্ষিনাংশ জুড়ে রয়েছে। আপনি এই সমুদ্র সৈকতে জলক্রিড়া করতে পারেন অনায়াসে। প্রমথেপ অন্তরীপ একটা দেখার মতো জায়গা। এখানে সূর্যাস্ত দেখা যায় কারণ এটা সমুদ্র সৈকতের একদম দক্ষিণে অবস্থিত।
সর্বশেষ সৈকত হলো রাওয়াই যেখানে আপনি আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। এখানে অনেক উপকুলবর্তী দ্বীপ আছে যেগুলির সুন্দর সাদা সৈকত আছে। আপনি এখানে পানির নীচের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন যেগুলি স্কুবা ডাইভার ও জেলেদের আকর্ষণ করে।
সমুদ্র ছাড়াও ফুকেতে অনেক প্রাকৃতিক স্থান রয়েছে উপভোগ করার মতো যেমন আছে টন সাই জলপ্রপাত, ফরেস্ট পার্ক এবং খাও ফ্রা থায়ে বন্যপ্রাণী পার্ক যেখানে আপনি পাখি, ভল্লুক এবং বানর সেসাথে জলপ্রপাত ও গাছপালা দেখতে পাবেন। যদি উত্তর পূর্ব দিকে যান তাহলে দেখতে পাবেন চালং বে যেখানে ওয়াত চালং এ বৌদ্ধ সন্নাসীদের প্রতিমূর্তি সংরক্ষিত আছে। আর যদি দক্ষিণে যান তাহলে আপনি পৌছে যাবেন ফানওয়া অন্তরীপে যেখানে একটা মেরিন বায়োলজি রিসার্চ সেন্টার আছে আর আছে অ্যাকুয়ারিয়াম নানা জাতের সামুদ্রিক প্রাণী।
যদি সাগর সৈকতে বেশী আকর্ষণ বোধ করেন তাহলে দেখার মতো আরও বিষয় আছে। আপনি হোটেল ও কফি শপ ভিজিট করতে পারেন। দ্বীপে থাই, চীনা আর ইসলামী খাবার পাবেন। ফুকেতে পাওয়া সামুদ্রিক খাদ্য থাইল্যান্ডে পাওয়া সব সীফুডের মধ্যে সেরা। থাইল্যান্ডের দক্ষিণের খাদ্য মশলাদার কিন্ত্ত মজাদার। যদি আরও প্রাকৃতিক খাবার খেতে চান তাহলে দ্বীপে যেসব ফলমুল পাওয়া যায় সেগুলির স্বাদ নিতে পারেন। এখানে আনারস ও নারকেল জন্বায়।
যদি রোদে সময় কাটানোর মুডে না থাকেন তাহলে কেনাকাটার জন্য বের হতে পারেন। বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার মতো অনেক সুন্দর সুন্দর হস্তশিল্প এখানে পাওয়া যায় ঝিনুক ও কোরাল অলংকার এমনকি চাষ করা মুক্তো। রাতে সবকিছু নিস্তব্ধ থাকে যদি না আপনি শহরে এবং পাতং বীচ রেস্তোরাঁয়, বারে বা অন্যান্য জায়গায় সন্ধ্যায় যেগুলি খোলা থাকে সেখানে অবস্থান করেন।